লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

 

বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যে কোনো সরকারের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যাপক সাফল্য রয়েছে। তথাপি সকল মানুষের সুচিকিৎসা সহজলভ্য করতে বেসরকারি উদ্যোগগুলোকেও অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য বুলেটিন ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ১,৪৮৭ জনের জন্য মাত্র ০১ জন নিবন্ধিত চিকিৎসক রয়েছে।

এছাড়া, প্রতি ১০,০০০ জন মানুষের জন্য সরকারী হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৩ দশমিক ৩০ টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫ দশমিক ৫৩ টি। স্বাস্থ্য খাতে অপর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, সীমিত আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অত্যাধিক খরচ ইত্যাদি সমস্যাগুলো বিদ্যমান। সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলাকালে এ বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। টেকসই উন্নয়ন নিয়ে জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭ টি লক্ষ্যের মধ্যে ৩ নম্বর লক্ষ্যটি হলো “সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ”।

সে প্রেক্ষিতে একটি টেকসই এবং দরিদ্র বান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গঠনে কাজ করার উদ্দেশ্যে “মিনিম্যাক্স হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন (MiniMax Health Care Foundation)”  গঠন করা হয়েছে। 

  • সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ‘ভিশন ২০৪১’ এবং এসডিজি এর আলোকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর, টেকসই, সহজলভ্য ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলায় অংশীদার হওয়া। 
  • সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালার আলোকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় অলাভজনক পদ্ধতিতে নিজস্ব কনসাল্টেশন সেন্টার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল ইত্যাদি গঠন ও পরিচালনা করা। 
  • স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও দেশে অধিক সংখ্যক মানসম্মত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করার লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইন্সটিটিউট এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট গঠন ও পরিচালনা করা। 
  • গরীব এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম করার লক্ষ্যে বৃত্তি প্রবর্তন ও চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান করা। 
  • ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুফল গ্রামীণ এলাকাসহ বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা সাধারণ জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া । 
  • সাধারণ জনগণকে বাৎসরিক ফি এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নূন্যতম খরচে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করা। 
  • ফাউন্ডেশনের সদস্যদের বাইরেও দুঃস্থ-অসহায় ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। 
  • দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করা এবং চিকিৎসা খরচ কমানো।